Type Here to Get Search Results !

Sugar Deficiency: চিনি ছাড়া থাকতে পারছেন না ?একমাস না খেলে কী হয় শরীরে

Sugar Side Effects: ধরা যাক, একমাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। এতে শরীরে কী কী বদল আসতে পারে ? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন পুষ্টিবিদ।

চিনি ছাড়া থাকতে পারছেন না ? একমাস না খেলে কী হয় শরীরে



বাংলাদেশ: চিনি ছাড়া চা খুব কম ব্যক্তিই খান। এছাড়াও, অনেকে রান্নায় অল্প বিস্তর চিনি দিতে ভালোবাসেন। মিষ্টি খাবারের দিকেও অনেকে ঝোঁক রয়েছে। আর আলাদা করে মিষ্টির কথা তো না বললেও চলে। বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে মিষ্টি থাকবেই। বাঙালির রসনা তৃপ্তির অন্যতম উপাদান এই মিষ্টি। কিন্তু একমাস যদি মিষ্টি খাবার বাদ পড়ে যায় খাওয়াদাওয়া থেকে ? চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার পাতে রাখা যাবে না। বাকি সবই খাওয়া যাবে আগের মতো। তাহলে কি শরীরে খারাপ প্রভাব পড়বে ? এবিপি লাইভের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বললেন নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ পদ্মজা নন্দী।


চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে কেমন প্রভাব ?

পুষ্টিবিদ পদ্মজা জানালেন, চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে এমন কিছু খারাপ প্রভাব পড়বে না। কারণ চিনি খাওয়া বন্ধ মানেই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ নয়। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলেও সুগার আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যেমন ফল থেকে আমরা সুগার পাই। এমনকি বেশ কিছু সবজির মধ্যেও সুগার কন্টেন্ট থাকে। 

সুগার নয়, কার্বই আসল চাবিকাঠি

কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তির জোগান দেয়। রোজ আমরা যা কাজ করি, তার অধিকাংশ শক্তিই আসে কার্বোহাইড্রেট থেকে। তাই এটি খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। তখন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু টেবিল সুগার বন্ধ করলে তেমন কোনও সমস্যা হয় না।

একমাস চিনি না খেলে কী কী উপকার ?

মাত্র একমাস চিনি না খেলেই বেশ কয়েকরকম উপকার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ। তাঁর কথায় -

ক্লান্তি কমবে - চিনি আমাদের মানসিক ক্লান্তি কমায় না। বরং তা বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনি না খেলে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
চাঙ্গা লাগবে -  নিজেকে আরও চাঙ্গা বা এনার্জেটিক লাগবে। কারণ চিনি আমাদের ক্লান্তি বাড়িয়ে দেয়। অনেকে মনে করেন, চিনি না খেলে ক্লান্ত লাগে। কিন্তু আদতে উল্টোটাই সত্য। কার্বোহাইড্রেট থেকেই শরীর পর্যাপ্ত শক্তি পায়। সেটা বন্ধ করা যাবে না।
ওজন কমায় - চিনির মাধ্যমে অনেকটা ক্যালোরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। চিনি না খেলে সেই ক্যাালোরি কমে যাবে। ফলে ওজনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.